১৬ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জমে উঠছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনী আইনের বাধ্যবাদকতায় আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও অনানুষ্ঠানিক ভাবে চলছে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-তৎপরতা। নানান-সামাজিক-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যানারে চলছে সব কার্যক্রম। প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও বসে নেই। বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৬ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা) প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য এর মধ্যে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ বাড়তি হিসাব ধরে মোট ১৬ হাজার ১৭২ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এখন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হবে বলে নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। এবার নগরীর সবকটি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ করা হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সাড়ে ১১ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি বুথে দুটি করে ইভিএম থাকবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য নগরীর পাঁচটি স্কুল ও কলেজে মজুত রাখা হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার ইভিএম। গত মার্চ থেকে ৯ মাস ধরে এসব ইভিএম মজুত রাখা হয়েছে। আসন্ন ২৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইভিএম গুলোর কোয়ালিটি চেক করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ২২ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম চট্টগ্রাম এসেছেন। তারা নগরীর জিমনেশিয়াম, নাসিরবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ কলেজ, আগ্রাবাদ সরকারি কলোনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত ইভিএম গুলোর কোয়ালিটি চেক করছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন ৭ মেয়র ও ২৭৭ কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য দিন
পরবর্তী নিবন্ধফতেয়াবাদ নিউ টাউন প্রকল্প ঝুলে আছে ১৩ বছর