সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সুরাহা না হলে আগামী ১৫ জানুয়ারির পর পুনরায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে ডীপ সী ফিশিং ভেসেল মেরিনার্স ফোরাম। আইন বাতিলের দাবিতে ইতঃপূর্বে দেয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) শেষ হওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে আরো ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে তাদের ভাষায় ‘আপত্তিজনক ও বিতর্কিত’ ধারাসমূহ ঠিকঠাক করে মেরিন ফিশিং সেক্টরের জন্য গ্রহণযোগ্য ‘মেরিন ফিশিং ভেসেল চলাচল আইন-২০২০’ প্রণয়ন করা না হলে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর আবারো ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, নব প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন পুনঃসংশোধনের দাবিতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় ফিশিং ট্রলার ও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ নাবিকেরা গত ৫ ডিসেম্বর থেকে সাগরে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। ২৫৩ ট্রলারের ক্যাপ্টেনসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ নতুন প্রণীত আইন সাংঘর্ষিক, গণবিরোধী, মৌলিক আইন পরিপন্থী। তারা এই আইনের পুনঃসংশোধন দাবি করেছেন। নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইনে বেশ কিছু ধারা এবং উপধারার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন মাছ শিকারের সাথে জড়িতরা। বিশেষ করে জরিমানা, ক্ষতিপূরণ, কারাদণ্ড এবং গ্রেপ্তারের ব্যাপারে চরমভাবে আপত্তি জানিয়েছেন তারা।
একাধিক জাহাজ মালিক এবং আন্দোলনের সমর্থনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, সংশোধিত মৎস্য আইন-২০২০ এর গেজেট নোটিফিকেশন গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে মৎস্য আহরণের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাঝে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে আইন সংশোধনের আশ্বাস দেয়ার পর আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। উক্ত আল্টিমেটামের মধ্যে আইন সংশোধন না করায় ডীপ সী ফিশিং ভেসেল মেরিনার্স ফোরাম সমন্বয় কমিটি আবারো সভা করে। সংগঠনের সভাপতি সামছুল ইসলাম রাশেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর আবারো ১৫ দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।












