আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বাজার থেকে কোন দরদাম ছাড়াই কিনে নিয়ে আসি। আবার একদরের দোকান থেকে কিনতে পারলে যেন ভালো ই লাগে, কোন ঝামেলা থাকে না দরদাম করা নিয়ে। এছাড়াও নাস্তার পেছনে আমরা ব্যয় করি হাজার হাজার টাকা। মাঝে মাঝেই অনেক টাকা খরচ করে চলে যায় বিভিন্ন দেশ বা জায়গায় বেড়াতে। বন্ধুদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিলও থাকে প্রচুর আমাদের মাসের তালিকায়। তাছাড়া পার্টি, উৎসব তো লেগেই আছে। কিন্তু একটা বই কিনতে বললে? আমরা অনেকেই যেন আৎকে উঠি! অথচ এই একটি বই-ই হতে পারে আপনার সারাজীবনের সেরা প্রাপ্তি। অজানাকে জানার, মেধার সমৃদ্ধি, মনের প্রশান্তি, সুন্দর জীবন গঠন, মনের জীবনীশক্তি, উদার মন গড়া,সুন্দর সময় পার করা,ভালো লাগার কিছু পেয়ে আনন্দে পুলকিত হওয়া ছাড়াও আরো অনেক অনেক উপকার করে বই। তরুণদের জীবনের নানা সুন্দর দিক উন্মোচন করতে পারেও কিন্তু একটি বই।বই হলো আসলে আমাদের নীরব বন্ধু। অথচ কম দামে ভালো বই পাওয়া গেলেও আমরা কেউ কিনতে চাই না। আসুন পথ চলতে, আড্ডায়, বেড়াতে যাওয়ার সময়, ঘুমাতে, অবসরে, বিনোদনে বইকে সঙ্গী করি, সুন্দর একটা সমাজ গড়ি।আসলে এত কথা লেখার কারণ হচ্ছে মাস ব্যাপী অনলাইন বই মেলার জন্য। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বইপ্রেমীদের জন্য চলছে মাসব্যাপী অনলাইন বই মেলা। আজ তার শেষ দিন। এখানে মিলিত হচ্ছে চট্টগ্রামের শত শত বইপ্রেমী বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, আর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ববর্গ।এছাড়াও আছে নতুন নতুন লেখকদের পদচারণা। কিছু সময়ের জন্য আমিও উপস্থিত হতে পেরেছিলাম সেখানে। কি অসাধারণ পরিবেশ, মানুষজনের উপস্থিতি, নীরব দর্শক, মনোমুগ্ধকর আয়োজন,বইপ্রেমী ভক্ত অনুরাগীদের মনের উৎফুল্লতা সব কিছু ছিলো দেখার মতো। আসুন বই পড়ি, বই কিনি, বই উপহার দিই। বই মেলায় সবার পদচারণা হোক শিক্ষনসুলভ, ভালো পাঠক ও বইপ্রেমী হিসেবে। বই এনে দিতে পারে এই করোনাকালীন মানসিক সুস্থতা।