উচ্ছেদের ১৫ দিন না যেতেই ইটভাটায় নতুন চিমনি

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

সরকারি জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের ১৫ দিন না যেতেই নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে চিমনি। সীতাকুণ্ডের লতিফপুরের ওই ইটভাটায় প্রভাবশালীরা নতুন করে ইট তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। সরকারি জমিতে আবারো ইটভাটা বসানোর খবরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, যে খুঁটির জোরে সরকারি জমিতে নতুন করে চিমনি তৈরি করা হচ্ছে সেই খুঁটি ভেঙে দেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নগরীর উত্তর কাট্টলীর বঙ্গোপসাগর পাড়, সীতাকুণ্ড উপজেলার লতিফপুরে একটি এবং জঙ্গল সলিমপুরে একটি ইটভাটাসহ তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। উচ্ছেদের মাত্র ১৫ দিন না পেরুতেই লতিফপুরের ইটভাটায় নতুন করে চিমনি তৈরি করছেন প্রভাবশালীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, চিমনি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৮ ডিসেম্বর অভিযানের সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া ভাটায় নতুন করে কাঁচা ইট কাটা হচ্ছে। তবে অভিযানের সময় কাঁচা ইট ধ্বংসের ঘোষণা দেওয়া হলেও বেশিরভাগই অক্ষত রয়ে যায়। ইটভাটার মাটির মিঙার মেশিনটিও অক্ষত আছে। গত কয়েকদিন ধরে চিমনি তৈরি শুরু হলেও স্থানীয় প্রশাসন অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন থেকে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরকারি জায়গায় নির্মিত অবৈধ ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন যদি উচ্ছেদকৃত ইটভাটাতে নতুন করে কেউ চিমনি তৈরি করে কিংবা ইট তৈরির কার্যক্রম চালাতে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি আগে অবগত ছিলাম না। আজ শুনেছি। তবে আজ (গতকাল সোমবার) পৌর নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কাল (আজ মঙ্গলবার) ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হবে।’
উচ্ছেদকৃত স্থানে নতুন করে চিমনি তৈরির বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী সোমবার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘হয়তো কোনো খুঁটির জোরে চিমনি তৈরি করা হচ্ছে। এখন ওই খুঁটি ভেঙে দেওয়া হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শিপুর মায়ের শয্যাপাশে কাউন্সিলর প্রার্থী লাভু
পরবর্তী নিবন্ধএকশ অদম্য পাড়ি দেবে ৩শ কিমি পাহাড়ি পথ