হেমন্তের পর শীতের আবির্ভাব যেন সকল শুষ্ক কাঠিন্য, ক্লান্তি, বিষাদকে উপেক্ষা করে নতুন আমেজ নিয়ে হাজির হয় গ্রামবাংলায়। ইট-পাথরের শহরে এ আমেজের উপলব্ধি নেহাত কম। খেজুর গাছ আর রসের সাথে বাঙালির নিবিড় সম্পর্ক। শীত মৌসুমে এ সম্পর্ক যেন বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। খেজুরের রস দিয়ে ফিন্নি, পায়েস, বাপা পিঠা, মিটাই মুড়ি, চিতল পিঠাসহ তৈরি করা হয় নানান ধরনের সুস্বাদু খাবার। খেজুরের রস, গুড় ছাড়া শীতকালীন উৎসবের কথা কল্পনাই করা যায় না। খেজুরের রস ও গুড় বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর সাথে একই সুতায় গাঁথা। কেউ আবার খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১/২ দশক আগে গ্রামবাংলার হাজার হাজার গাছিয়া রস এবং গুড় বিক্রি করে তাদের সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে সঠিক পরিচর্যা আর প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। নতুন সড়ক নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের কবলে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। আমাদের সোনালী ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি, বেসরকারি এবং নিজ নিজ উদ্যেগে খেজুর গাছের বাগান গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সড়কের দু’ধারে খেজুর গাছ লাগাতে হবে।
– হাচান মাহমুদ শুভ, শিক্ষার্থী, এমবিবিএস ১ম বর্ষ
ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।