খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে চার প্রার্থী। এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্মলেন্দুর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের। এছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিলও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে। নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্পদ বিবরণের অর্থাৎ হলফনামা জমা দিয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। হলফমানা বিশ্লেষণের দেখা গেছে, চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের চেয়ে ঢের সম্পদ বেশি তার। তবে শিক্ষাক্ষত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল। হলফমানা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নৌকার প্রার্থী ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে সম্মানী পান ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। এইচএসসি পাস নির্মলেন্দুর স্ত্রী শিক্ষকতা করেন। বেতন বাবদ তার আয় ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। নির্মলেন্দু ও তার স্ত্রীর কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ২ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬ লাখ টাকা। নির্মলেন্দু স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত রেখেছে। নির্মলেন্দু চৌধুরীর নির্মাধীণ বাড়ি ১টি, এছাড়া রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা দামের পাজেরো, ১ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার, ৫০ হাজার টাকা মূল্যে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ৫০ হাজার আসবাবপত্র এবং ৬ লাখ ১২ হাজার টাকার অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়া রয়েছে কৃষি জমি ও প্লট। তার কোন ব্যাংকে দেনা নেই ।
ব্যবসা থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলমের আয় ৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, মেয়র হিসেবে সম্মানী পায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ৫০ হাজার। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা, স্ত্রী নামে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৪ লক্ষ টাকা ও মেয়ের নামে রয়েছে ১ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ। যৌথ ও একক মালিকানায় কৃষি ও অকৃষি জমি রয়েছে। ব্যক্তিগত কোন গাড়ি নেই মেয়র রফিকুল আলমের। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। অতীতে রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ৩৬টি ফৌজদারি মামলা হলেও সবকটি খালাস পান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের ইব্রাহিম খলিল শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছে। তিনি এলএলবি পাস। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি। কৃষিখাত থেকে তার আয় ৬০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৪০ হাজার। ইব্রাহিম খলিলের নগদ টাকার পরিমাণ ৮০ হাজার, নির্ভরশীলদের নামে রয়েছে ১ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এক লক্ষ ৫০ টাকা মূল্যের র্স্বণালঙ্কার রয়েছে। এছাড়া একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। কৃষি ও অকৃষি জমিও রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমদ জানান , মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন মেয়র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না। সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।