লোহাগাড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে চারটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার পদুয়া, কলাউজান ও চুনতি ইউনিয়নে দিনব্যাপী এসব অভিযান চালানো হয়। গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হল- বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন পদুয়া এলাকায় মো. শাহেদের মালিকানাধীন বার আউলিয়া ব্রিকস (বিএবি), পশ্চিম কলাউজানের মালিপাড়া ও বাহাদুর পাড়ায় অবস্থিত মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের মালিকানাধীন খাজা ব্রিকস কলাউজান (কেবিকে), মো. আইয়ুবের মালিকানাধীন পেঠান শাহ ব্রিকস (পিএসবি) ও চুনতি ইউনিয়নে ইয়াছিন মাঝির মালিকানাধীন চুনতি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং (সিবিএম)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুউল্লাহ নুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক ও র্যাব ৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি নুরুল আবছার। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক জানান, লোহাগাড়ার ৯ ইউনিয়নে প্রায় ৫০টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে একটিরও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে এসব পরিচালনা করা হচ্ছিল। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৩ অমান্য করে অবৈধভাবে ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় ভাটা গড়ে তোলায় হাইকোর্টের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া অনেক সরকারি খাস জায়গা দখল করে ইটভাটা গড়ে তুলেছে। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতেও এ অভিযান। আজ মঙ্গলবারও লোহাগাড়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইট প্রস্তুত আইন অমান্য করে ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করে আসছিল। তারা নানা কৌশলে হাইকোর্টের মাধ্যমে নানা নির্দেশনা নিয়ে এসে ভাটা পরিচালনা করতো। বর্তমানে তাদের কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র নেই। এছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রতিটি ইটভাটার গুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অভিযানে সাথে ছিলেন সাতাকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জুলহাস উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আফজাল, উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন ও পরিদর্শক হারুনু রশীদসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ।