মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের সন্তানকে বাঁচাল পুলিশ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। বয়স ৩৫। কিছুটা দূরে তাঁর সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তান। ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পড়ে আছে। অসংখ্য গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। যেকোনো মুহূর্তে শিশুটি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তখনই এগিয়ে এলেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বিআইটিআইডি মূল গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মা ও নবজাতক বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মা ও শিশুকে উদ্ধারের বিবরণ দিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ফৌজদারহাট পুলিশ বঙের সামনে টহলের দায়িত্ব পালনকালে দুই কনস্টেবল ও এক গাড়িচালককে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তারা গাড়িতে ছিলেন। এদিক-ওদিক তাকাতে ৩০ গজ দূরে হঠাৎ একটি শিশুর কান্নার শব্দ কানে আসে। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বিআইটিআইডি মূল ফটকের সামনে পড়ে আছে একটি রক্তমাখা নবজাতক। ওই সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক পথচারী নারী। তার সাহায্য নিয়ে কিছু দূরে থাকা নবজাতকের মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়ি করে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আমি বিষয়টি সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি, সীতাকুণ্ড থানার ওসিকে অবগত করি।
তিনি আরো বলেন, গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ভারসাম্যহীন ওই নারী। শিশু ওয়ার্ডে আছে নবজাতকটি। তাকে দেখাশোনা করছেন বিলকিস আক্তার নামের এক নারী।
সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, বিষয়টি মানবিক। ফুটপাতে থাকলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অন্ধকার রাতে মহাসড়কের যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হতে পারতো। আমাদের পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ ক েছে। পুলিশ মানবিক কাজে সবসময় পাশে থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ জন মাঝিমাল্লাসহ ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত দল