নগরীর চান্দগাঁও ফরিদারপাড়া তালতলা সংলগ্ন খাল থেকে গতকাল শুক্রবার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে প্রায় ১০টন ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সকালে ওই এলাকার খাল পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে ময়লা-অবর্জনার ভাগাড় দেখে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পুরো এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখে নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এর সমাধানে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। খাল পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে দেখা যায় বড় বড় বহুতল দালানের পাশে খালে গৃহস্থালী ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন, প্লাস্টিকের পণ্য, কাঁচা সবজির উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়েছে। প্রশাসক এসব ময়লা-আবর্জনা দেখে বলেন, এই এলাকার বাসিন্দারা বহুতল ভবনে অভিজাত জীবন যাপন করছেন। অথচ তাদের বসবাসের স্থান ভবনের পাশে খালে ফেলেছেন ঘরের গৃহস্থালী বর্জ্য। এরকম সুউচ্চ অট্টালিকার নীচে অসুন্দরের বসবাস হতে পারেনা। এসব ময়লা আবর্জনার স্তূপ হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। আর মশার বংশ বিস্তারের জন্য এই নাগরিক অসচেতনতা দায়ী। এভাবে আবর্জনা ফেললে মশার উৎপাত বাড়বে। কর্পোরেশন কালো তেল বা এডাল্টিসাইড স্প্রে ও ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটিয়ে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারবে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হলো নগরবাসীর নিজে নিজের আশপাশ পরিস্কার রাখা। তিনি ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া ও করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প কোন পথ নেই উল্লেখ করে বলেন, আপনারা নিজে বাঁচুন, পরিবেশকে বাঁচান। তালতলা সংলগ্ন খালের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ও মশার ওষুধ ছিটাচ্ছি কর্পারেশনের পক্ষ থেকে।
পরে প্রশাসক এলাকার বসিন্দাদের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। এসময় তিনি বহদ্দারহাট মোড়ে রাস্তা দখল করে দাড়িয়ে থাকা টেম্পো, রাইডার, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহনগুলোকে সরিয়ে দিয়ে রাস্তার একপাশে রাখতে বলেন, যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়। তখন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন নিজু, সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, শওকত হোসেন, গোলাম মহিউদ্দীন বাবুল, গোলাম আয়াছ, শহিদুল আলম, লুৎফে আজিম রেনেসাঁ ও সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।