ইতিহাসের পাতায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি চট্টগ্রামকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন এবং সবসময় চট্টগ্রামকে নিয়ে ভাবতেন।
গতকাল বিকালে দামপাড়ায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন
চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপসি’ত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমেদ এমপি। উক্ত সভায় আলোচক হিসেবে উপসি’ত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ও চসিক মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপসি’ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহ্বিুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।
তোফায়েল আহমেদ এমপি আরও বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আমার খুব কাছের মানুষ ও ভালো বন্ধু। বিপদে আপদে সুখে দুখে আমরা বসে পরামর্শ করতাম। পরামর্শের প্রধান বিষয়বস’ থাকতো চট্টগ্রামের উন্নয়ন। মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন তখন থেকে তিনি চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার জন্য কাজ শুরু করেন। শিক্ষা, স্বাস’্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। যার ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম হয়ে উঠে বাংলাদেশের একটি মডেল নগরী।
তিনি আরও বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজপথের সাহসী নেতৃত্বদানকারী। এই কারণে শেখ হাসিনা তাঁকে অনেক পছন্দ করতেন। শুধু চট্টগ্রামের নয়, সারা বাংলাদেশে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অগণিত ভক্ত রয়েছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর কর্মগুণে ও সৎ সাহসী নেতৃত্বের কারণে গণমানুষের হৃদয়ে স’ান করে নিয়েছেন। বীর চট্টলার প্রিয় অভিভাবক ছিলেন। চট্টগ্রামের মানুষ এবং সারাদেশের অগণিত ভক্ত মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কোনদিনই ভুলবে না।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আধুনিক চট্টগ্রামের অন্যতম রূপকার। চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরীতে পরিণত করতে আমৃত্যু নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে আমাদের স্মৃতি অনেক। চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের রূপকার ও সাহসী নেতৃত্বদানকারী ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ছিলেন চট্টলবাসীর প্রিয় অভিভাবক। তাঁর মতো নেতা চট্টগ্রামে আর জন্ম নিবে না। চট্টগ্রামবাসী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আজীবন স্মরণ করবে। আগামী মেয়র নির্বাচনে নির্বাচিত হলে আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।