করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সামলাতে অনেককে জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ যেন মাথার উপর আচমকা আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো। আয় কমে যাওয়া মানুষরা এখন রীতিমতো হাসতেও যেন ভুলে গেছেন। সমপ্রতি প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রিকশা চড়ে রাতে বাসায় ফিরছিলাম।রিঙা থেকে নেমে ভাড়া চুকিয়ে চলে যাওয়ার সময় চালক দুঃখের সাথে জানালেন, সে দিনে একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকুরি শেষ করে রাতে রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনরকমে টেনেটুনে সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন। প্রাণসংহারি এই ভাইরাসের প্রভাবে অনেক দোকানপাট, শিল্প-কারখানা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারিয়ে অনেক মানুষ আজ পথে বসেছেন। ঘরভাড়ার টাকা যোগাড় করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়ে শহর ছেড়ে অনেককে গ্রামে পাড়ি জমাতে হচ্ছে। পোশাক শিল্প মালিক ও দেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বুঝা উচিত এই সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক পরিশ্রমের ফলে আপনারা আজ সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের একটু সহযোগিতায় এই সকল আশাহত পরিবারের সদস্যরা আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবে।আজকের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি একদিন কেটে যাবে। অন্ধকার মাড়িয়ে আবার উদিত হবে নতুন সূর্য। তাই করোনার এই দুঃসময়ে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অসহায় মানুষের পাশেএগিয়ে আসা।