অন্যকে শোধরানোর পাশাপাশি নিজেকে শুধরে নেয়ার নীতি অবলম্বন করলো বাংলাদেশ পুলিশ। ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে। কিন্তু আইনটি কার্যকরে নানা প্রতিবন্ধকতার অন্যতম হলো পুলিশ সদস্যদের অনেকের সরকারি কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা। তাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিজ বিভাগের সদস্যদের গাড়ির তথ্য চাওয়া হয়েছে এবং কাগজপত্রের হালনাগাদ কপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পরপরই সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর উপ-পুলিশ কমিশনারদের মাধ্যমে সকলের কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেই বিষয়টি তদারকি করছেন।
জানা গেছে, গত বছর ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়িত হলেও মাঠে তার প্রয়োগে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে কথাটি শোনা যায়, তা হলো, পুলিশ গাড়ির কাগজপত্র দেখে ঠিকই, কিন্তু পুলিশ সদস্যদের অনেকের গাড়ির কাগজপত্রই ঠিক নেই। এর সত্যতাও পান কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টরা। এটা শুধু চট্টগ্রামেই নয়, সারা দেশেই একই অবস্থা বিরাজমান। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো সরকারি ও ব্যক্তিগত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করে পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হবে, তিনি সেগুলো পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন।