নগরের হালিশহরের বড়পুলে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিএমপি’কে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল রোববার চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন স্বাক্ষরিত চিঠিটি সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে সরেজমিন উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে, ভাস্কর্যের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনজন পুলিশ সদস্য। ভাস্কর্যের চতুর্দিকে বাঁশের ঘেরাও দেয়া হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ‘বজ্রকণ্ঠ’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। শেখ মুজিবুর রহমানের চিরচেনা ভঙ্গিতে তাঁর ‘বজ্রকণ্ঠে’ ভাষণের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয় এ ভাস্কর্যে। এটি নির্মাণ ও স্থাপন কাজে চসিকের ব্যয় হয়েছে ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। শুধু ভাস্কর্যের উচ্চতা সাড়ে ২২ ফুট। তবে বেইজসহ (বেদি) পুরো ভাস্কর্যের উচ্চতা ২৬ ফুট। সাদা সিমেন্টের (আর সি সি) ঢালাইয়ের মাধ্যমে ভাস্কর্যটির স্থায়ী রূপ দেয়া হয়। যার ওজন প্রায় ৩০ টন। এর পূর্বে প্রায় ৪ মাস সময় ধরে মাটি (মডেলিং ক্লে) দিয়ে মূল ভাস্কর্যের আদলটি তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে গতকাল সিএমপি কমিশনারকে দেয়া চসিক প্রশাসকের চিঠিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে সারা দেশে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন সভা ও মিছিলের আয়োজনসহ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে। অতিসম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলায় কতিপয় দুষ্কৃতকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে যা অনভিপ্রেত ও গর্হিত কাজ।’
চিঠিতে হালিশহর বড়পুল এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করা অতীব জরুরি উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হয়।