আনোয়ারায় গণপরিবহণে নৈরাজ্য নিয়মে পরিণত হয়েছে। বাসের সংখ্যা কমে যাওয়া, গেইট লক সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়, বিভিন্ন কোম্পানিতে ভাড়ায় বাস নেয়া, সিএনজি টেক্সির বাড়তি ভাড়া আদায় মিলিয়ে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
সূত্রে জানা যায়, এক সময় আনোয়ারা রুটে আড়াই শতাধিক বাস চালু থাকলেও বর্তমানে তা ৬০ থেকে ৭০ টিতে নেমে এসেছে। সারা দিন ১০ থেকে ১৫টি বাস বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রী নিলেও বাকীরা লাল বোর্ড কিংবা রিজার্ভ লিখে দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে চলাচল করে। উপজেলার চাতরী চৌমুহনী স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের বেশির ভাগ সময় এখানে বাসের অপেক্ষায় শত শত যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকে। সে তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক কম। এ সুযোগে সিএনজি টেক্সির চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে। একেকটি বাসের জন্য আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। গণপরিহনের ভোগান্তির চিত্র উপজেলার সরকার হাট, আনোয়ারা সদর, জয়কালী হাট ও বন্দর সেন্টার এলাকার নিত্যকার। বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রবিবার এই ৪ দিন যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। জানা যায়, কয়েক বছর আগে আনোয়ারার ছাত্তার হাট, তৈলার দ্বীপ ফেরিঘাট, মুরালী ঘাট, বরকল ব্রিজ, বটতলী রুস্তম হাট ও রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ৬টি বাস ও জিপ গাড়ির স্টেশন ছিল। সিএনজি অটোরিক্সা চালুর পর জিপ গাড়িতে যাত্রী কমে গেলে এসব গাড়ি যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তৈলারদ্বীপ ব্রিজ ও বরকল সেতু নির্মাণের কারণে চন্দনাইশ ও পেকুয়া-বাঁশখালী থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হলে আনোয়ারার বটতলী ও ছাত্তার হাট স্টেশন চালু থাকলেও বাকী ৪ টি বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে চন্দনাইশ ও পেকুয়া- বাঁশখালী থেকে চলাচলকৃত অধিকাংশ বাস চালকেরা বিরতিহীন বা লাল বোর্ডের নামে আনোয়ারার যাত্রী পরিবহন করে না । ফলে আনোয়ারার মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
পিএবি সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী বলেন, এক সময় আনোয়ারা রুটে আড়াইশর বেশি বাস ছিল। লোকসানের কারণে তা এক চতুর্থাংশে নেমে এসেছে। লোকসান কমাতে অধিকাংশ বাস কেইপিজে, সিইউএফল ও পোশাক কারখানায় চুক্তি ভিত্তিক ভাড়ায় চলছে।