৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি’র (রড-সিমেন্ট-কংক্রিটে কাজ) মাধ্যমে লামা পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয় বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহের উন্নয়নের ফলে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে লামা পৌরসভার আওতাধীন লামা বাজার এবং তদসংলগ্ন এলাকার জনগুরুপূর্ণ ১৩টি সড়ক ও গলি পথ আরসিসির মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে এসকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্নের লক্ষ্যে অনুমোদন নেয়া হয়। এর পরই পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারদের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করা হয়।
জানা গেছে, ১ নম্বর প্যাকেজের আতায় ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ১৭২ টাকা ব্যয়ে লামা বাজার প্রধান সড়ক থেকে প্রেসক্লাব সড়ক, ডা. সজল বাড়ি সংলগ্ন সড়ক, স-মিল সড়ক এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন লামা-চকরিয়া প্রধান সড়ক থেকে মাস্টার পাড়া সড়ক আরসিসি’র মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। দ্বিতীয় প্যকেজের আওতায় ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৫ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন নয়াপাড়া মিশন রোড, লামা বাজারের সোনালী ব্যাংক গলি, ক্রোকারিজ গলি, কর্মকার গলি এবং তরকারি বাজার গলি আরসিসি’র মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। তৃতীয় প্যাকেজের আওতায় ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮২১ টাকা ব্যয়ে লামা মুখ সড়ক থেকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন কলিঙ্গাবিল মার্মা পাড়া সড়ক এবং লামা মুখ সড়ক থেকে নারকাটা ঝিরি সড়ক আরসিসি’র মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। চতুর্থ প্যাকেজের আওতায় ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬০ টাকা ব্যয়ে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক এবং লামা থানা সড়কের উন্নয়ন করা হয়।
লামা স-মিল এলাকার বাসিন্ধা মো. নবীর উদ্দিন জানান, লামা পৌরসভা তথা লামা বাজার এলাকার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে স-মিল সড়ক। এইচবিবি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স-মিল সড়কে চলাচলকারী লোকজন এবং মালামাল বহনকারী গাড়িকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত। পৌরসভার পক্ষ থেকে আরসিসি’র মাধ্যমে এ সড়কের উন্নয়ন সম্পন্ন হওয়ায় দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
লামা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, লামা পৌরসভার মেয়রের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অনুমোদিত ডিজাইন, স্পেসিফিকেশন এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি কাজই মান সম্পন্নভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তিন পার্বত্য জেলার সর্বত্রই ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় লামা পৌরসভায় এ উন্নয়ন। তিনি জানান, একই প্রকল্পের আওতায় আরো ৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসকল উন্নয়ন সম্পন্ন হলে লামা পৌরসভার যোগাযোগ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটবে।