আমাকেও প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবার মতো বড় হোক ওরা : এস আই টুটুল

| বৃহস্পতিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আড্ডার পরিবেশে ‘বাংলার গায়েন’ প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক এস আই টুটুল মজে ছিলেন আলাপে। কীভাবে শুরু এই প্রতিযোগিতা আর কী অবস্থায় এখন আছে সেটা জানানোর পর নিজের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি চাই ওরা এত বড় হোক যেন আমাকেও ছাড়িয়ে যায়, যেন আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে ওরা একদিন…। করোনাকালে শুরু হওয়া এই অভিনব সংগীত প্রতিভা খোঁজার অনুষ্ঠান বাংলার গায়েন যখন শুরু হয়, তখন তিনি জানতেন না দেশের আনাচে কানাচে এত চমক লুকিয়ে আছে। খবর বিডিনিউজের।
টুটুল বলেন, প্রতিটা বাচ্চাই, যারা প্রথম একশজনের মধ্যে এসেছেন, কেউই ফেলে দেওয়ার মতন নয়। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং ভিডিও আপ করে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার এখন মোটামুটি মাঝামাঝি ধাপ চলছে। সমপ্রতি শুরু হয়েছে স্টুডিওতে শুটিং। বর্তমানে আছে প্রায় ৩৬ জন প্রতিযোগী। তবে যারা বাদ পড়েছেন তাদের নিয়েও আশাবাদী তিনি।
বলেন, আমরা বিচার করেছি ওই দিনের পারফরমেন্স নিয়ে। অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও কিন্তু প্রতিদিন শত রান করতে পারেন না। হয়ত ওই দিনই কোনও প্রতিযোগীর গানটা একটু দুর্বল ছিল, তাই বাদ পড়েছে। না হলে একটা প্রতিযোগীকে বাদ দিতে আমাদের দশবার ভাবার অবস্থা ছিল। এই প্রতিযোগিতার বাকী দুজন বিচারক হলেন শওকত আলী ইমন এবং ইবরার টিপু। এই প্রথম তিনজন গায়ক এবং সংগীত পরিচালক নিয়ে বিচারক প্যানেল সাজানোতেও দারুণ আনন্দিত এই শিল্পী।
তিনি বলেন, বিষয়টা অভিনব বলেই আমাদের আন্তরিকতা অন্যরকম তার কোনও সন্দেহ নেই। কনসার্টে গান শুনতে গেলে কিন্তু একভাবে শুনি। কিন্তু যখন সেটা হয় প্রতিযোগিতার মঞ্চ- আমরা তিনজনেই চেষ্টা করেছি প্রতিটি প্রতিযোগীর সুর-তাল এবং গানের প্রতি ভালোবাসাকে বিবেচনা করতে। আমরা বিচারক হিসেবে একচুলও ছাড় দেইনি। তিনি মনে করেন, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ছয়জন প্রতিযোগীকে তারা তুলে আনতে পারবেন। বিশেষ করে পল্লীর গান- জারি সারি তথা বাংলার মাটির সুরকে তুলে আনার এবং নতুন প্রতিভাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে এই বিচারকদের জানান – এস আই টুটুল।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় বিন্দুমাত্র হতাশ না হয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পল্লীর গানগুলো নিয়ে আয়োজন করেছেন লোকসঙ্গীতের প্রতিযোগিতা ‘বাংলার গায়েন’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএসআরএম এর জন্য এইচএসবিসির সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন
পরবর্তী নিবন্ধসস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত তৌসিফ