সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৮৪ জন প্রার্থী। তাদের প্রত্যেকে আওয়ামী লীগ, জামায়াত-বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক। ফলে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার কথা থাকলেও তা দলীয় রূপ নেবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নয়টি আসনে ৭১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিনটি আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সীতাকুণ্ড পৌর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। অপর ৪ জন বিএনপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
অপরদিকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৭১ জনের মধ্যে ৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ১৫ জন জামায়াত-বিএনপি এবং ৪ জন জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অপর ২ জন অরাজনৈতিক প্রার্থী বলে জানা গেছে।
পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফজিলাতুলনেছা হোসনা জানান, নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তিনি পৌর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবারের নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বদিউল আলম জসিম জানান, কাগজে-কলমে নির্দলীয় হলেও তিনি পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সামাদ বলেন, সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ভেতরে-ভেতরে তারা সবাই দলীয়। দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনে জয় পেতে সুবিধা হয় বলে জানান তিনি।
পৌর বিএনপির সভাপতি ইউসুফ নিজামী বলেন, নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থী বলতে কিছু নেই। প্রায় সবাই রাজনৈতিক প্রার্থী। নির্দলীয় হিসেবে ভোটে দাঁড়ালেও তারা শেষ পর্যন্ত দলীয় সুবিধা নেবেন।