মেয়াদোত্তীর্ণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করতে চায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। প্রথমে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং চসিক নির্বাচনের পর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কথা ভাবা হচ্ছে। এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শীঘ্রই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কেন্দ্রীয় নেতা। চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১৩ সালে সমঝোতার ভিত্তিতে। তিন বছরের এই কমিটি এখন সাত বছর ধরে চলছে। এর মধ্যে বাঁশখালী উপজেলায় ২৪ বছর ধরে সম্মেলন হয়নি। আর নগরের ছয়টি ওয়ার্ড ছাড়া সবগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এসব কারণে এই দুই সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন হতে পারছে না বলে দাবি করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে গতবছরের ৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা কেন্দ্র থেকে স্থগিত করা হয়। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন আজাদীকে জানান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। অনেক উপজেলা কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা খুই শীঘ্রই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে বসব। তখন মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলাগুলোর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করব। এরপর জেলা সম্মেলনে করব। মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে। এখন নির্বাচনের আগে সম্মেলন করা যাবে না।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, ‘আমাকে হানিফ ভাই (আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি) এবং আহমদ হোসেন ভাই (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক) ফোন করেছেন। পৌর নির্বাচন এবং সম্মেলন নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদেরকে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) নিয়ে শীঘ্রই চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাই, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ভাই, মাহবুব উল আলম হানিফ ভাই, আহমদ হোসেন ভাই বসবে বলেছেন।’