চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফগামী যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের নৈশ কোচে ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ওই বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। ইতোমধ্যে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসাথে ঘটনার তদন্তে আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূরেখোদা সিদ্দিকী। সন্দেহের তালিকায় থাকা তিনজন হলেন সৌদিয়া বাসচালক লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পদুয়া গ্রামের মো. আমির হামজার ছেলে মো. কামাল (৬০), সুপারভাইজার কঙবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দেরপাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৮) ও হেলপার পদুয়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে সাহাদুল ইসলাম (১৯)। এনিয়ে এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তার ৬ ডাকাতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড রাইফেলের বুলেট, একটি রাম দা, লুট করা ২০টি মোবাইল সেট, এক জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি হাতঘড়ি, ২৮৫০ টাকা, আমিরাতের ২৫৫ এবং ওমানের ৩০০ মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করেছে র্যাব-৭। তাদের এই তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ২৭ নভেম্বর নৈশ কোচে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল সাতজন। তম্মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একাধিক দল ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব জানায়, প্রথমে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় দলনেতা কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মো. ইয়াহিয়া ওরফে জয়নালকে (২৬)। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি রাম দা পাওয়া যায়। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কঙবাজার সদরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে ছলিম উল্লাহ (৩৩), শিয়াপাড়ার মো. শাহজাহানের ছেলে ছাবের আহমদ (২৯), দক্ষিণপাড়ার হাছন আলীর ছেলে আবুল কালাম (৩০) ও চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের খুটাখালী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শাহ আমান ওরফে বাটুকে (২৮)। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যমতে ডাকাতির সময় বাসের নিয়ন্ত্রণকারী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গা নাজিরপাড়ার মো. বদরুদ্দোজার ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয় কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে। র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফ হোসেন জানান, নৈশ কোচে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনও শনাক্ত হয়েছে। তাকেও শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।