ঢাকাকে উড়িয়ে দেয়ার পর এবার সাকিবদের খুলনাকেও একই কায়দায় ধরাশায়ী করলো চট্টগ্রাম। গতকাল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় পায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জেমকন খুলনাকে ৯ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম। মিঠুনের দল টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার বিপরীতে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহদের খুলনা। মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজের বোলিং তোপে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট হয় যায় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার লিটন দাসের অর্ধশতকে ভর করে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৩৮ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ৮৭ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো সূচনা এনে দেন। লিটনের দৃষ্টি নন্দন ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে খুলনার বোলাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান আসে। সৌম্য ২৬ রান করে আউট হন। এরপর ৪২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। ১৩.৪ ওভারে ৮৭ রান করে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সাড়েন লিটন ও মুমিনুল হক। খুলনার একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। আর অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে বিধ্বংসী বোলিং শুরু করেন জাতীয় দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। তিনি ছাড়াও নাহিদুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম তাদের ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দিশেহারা করে তোলেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ইমরুল কায়েস। ২৬ বলে তিনি তিনটি চার হাঁকান। তারকাখচিত দলটির হয়ে এদিন ওপেন করতে নামেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে মাত্র ৩ রান করেই নাহিদুলের বলে বিদায় নেন। নাহিদুলকে ওড়াতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন তিনি। খুলনার হয়ে এছাড়া আরিফুল হক ১৫, জহুরুল ইসলাম ১৪ ও শামীম হোসেন ১১ রান করেন। তবে বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দারুণ বল করা মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভারে মাত্র ৫ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া নাহিদুল ও তাইজুল দুটি করে উইকেট পান।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিের ব্যাটিংশৈলীতে বরিশাল ৫ উইকেটে রাজশাহীকে পরাজিত করে। এটি বরিশালের প্রথম জয়। রাজশাহী প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩২ রান করে। জবাবে বরিশাল ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলে নেয়। বরিশালের তামিম ১৮ ও ১৯তম ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তামিম তার অপরাজিত ইনিংসে ৬১ বলে ৭৭ রান করেন। তিনি তার ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি সাজান ১০ চার ও ২ ছয়ের মারে।












