চারঘন্টা পর পর ভিটামিন মিশ্রিত বিদেশি গুঁড়ো ও ছাগলের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘিনী জয়ার শাবককে। তাকে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য দু’জন লোক চব্বিশ ঘন্টা নিয়োজিত আছে। এরপরও দুশ্চিন্তা কাটেনি জন্মের পর মায়ের দুধ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়া শাবকটির বেঁচে থাকা নিয়ে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ গতকাল শুক্রবার জানান, শাবকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটেনি। শাবকের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাচ্চাটি খুবই ছোট তাই তাকে সারিয়ে তোলা কঠিন হচ্ছে। এরপরও তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত ১৪ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি বাঘের বাচ্চার জন্ম হয়। জয়া-রাজ দম্পতি এই তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু মা বাঘের আচরণে দুর্ভাগ্য নেমে আসে। বাঘিনী জয়া বাচ্চাকে দুধ খেতে দেয়নি। এতে করে ১৫ নভেম্বর রাতে একটি শাবক মারা যায়। ডা. শুভ জানান, বাঘিনীর আচরণে বাধ্য হয়ে আমরা বাকি দুটো বাচ্চা আলাদা করি। দুধ না পাওয়ায় দুইটি বাচ্চাই বেশ দুর্বল ও সংকটে পড়ে। ১৮ নভেম্বর আরো একটি বাচ্চা মারা যায়। বর্তমানে বেঁচে রয়েছে একটি মাত্র বাচ্চা। পুরুষ এ বাচ্চাটিসহ চিড়িয়াখানায় মোট ছয়টি বাঘ রয়েছে।