খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, “ধর্ম কখনো হত্যা, নির্যাতন বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। মারামারি-খুনাখুনি ধর্মের অংশ নয়। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির কথা উল্লেখ রয়েছে।”
তিনি সকলকে মারামারি, খুনাখুনি ও রক্তপাত থেকে বের হয়ে ধর্মের পথে মৈত্রী ভাবনা করেই পথ চলার আসার আহ্বান জানান।
আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার কেদ্রীয় দিঘলছড়ি বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত ৪৭তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, “আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাও একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ এবং তিনি সব ধর্মের ব্যাপারেই অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি চান প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে। তাই তিনি জনগণের নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিলাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সেনা জোন কমান্ডার আখের মোহাম্মদ জয়, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ঊষামং মারমা।
এছাড়াও অনুষ্ঠোনে প্রধান ধর্মালোচক হিসেবে বিলাইছড়ি বাঙ্গালকাটা বহুমুখী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তেজবর্ণ ভিক্ষু, বিশেষ ধর্মালোচক হিসেবে উপজেলার বাজার সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত দেবতিষ্য ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যদিয়ে চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সংঘদান, বুদ্ধমুর্তি দান, কল্পতরু দান, অষ্ট পরিষ্কার দান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদান সহ নানাবিধ দান করা হয়।
ধর্মীয় দেশনায় বক্তারা বলেন, পুণ্য লাভে বনভান্তের শাসন, অনুশাসন ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলতে চলতে হবে।
এসময় বনবিহারে পুণ্য লাভের আশায় আগত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সাধু সাধু ধ্বনি দেন। শেষে বর্তমান দেশ ও জাতি করোনা প্রভাব থেকে যেন মুক্ত হতে পারে সেই প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিলাইছড়ি উপজেলার কেন্দ্রীয় দিঘলছড়ি বৌদ্ধ বিহারের নব-নির্মিত ভবন ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা।