চমেকের দুই চিকিৎসকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই ডাক্তারসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা এ জিজ্ঞাসাবাদ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়েছেন চমেক হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. তানজিলা, ডা. আখতারুল ইসলাম, টেন্ডার শাখার রেকর্ড কিপার মঈনুদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কানিজ ফাতেমা।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরই সূত্র ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, ১৫ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে নথি তলবের পাশাপাশি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ধারাবাহিকভাবে দুই চিকিৎসকসহ এই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দুদক জানতে পারে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব রাখতেন টেন্ডার শাখার রেকর্ড কিপার মঈনুদ্দিন আহমেদ। মঈনুদ্দিন ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করেছেন। মঈনুদ্দিন আহমেদ সরকারি কর্মচারী হলেও ব্যবসায়ী হিসেবে বিদেশ সফর করেছেন। একইভাবে তার স্ত্রীও বিদেশে গিয়ে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ মাস। পরে কর্মস্থলে আসলে চমেক কর্তৃপক্ষ তাকে কৈফিয়ত তলব করলে ৫ মাস ২২ দিন পর জবাব দেন। তারপরেও বহাল তবিয়তে থাকেন এই দম্পতি। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে টেন্ডার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা অর্থ প্রদানের বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশোকে বিহ্বল ফুটবল বিশ্ব
পরবর্তী নিবন্ধসরগরম আদালতপাড়া