মাঠ প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত সারাদেশে ১৫ দিন ব্যাপী পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ দ্বিতীয় সপ্তাহের ৪র্থ দিন গতকাল বুধবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে। এ উপলক্ষে সভা ফজলে আকবর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নুরুল মুহাম্মদ কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বদেশ শর্মা। বক্তব্য দেন, প্রদীপ কুমার চৌধুরী, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মো. আলাউদ্দিন, আলী আজম খান, আবদুল মান্নান, সোয়েব মোহাম্মদ দুলু, সৈয়দ মোহাম্মদ এরশাদ আলম, আবদুল মোবিন, ইখতিয়ার উদ্দিন, বিজয় বড়ুয়া, দেবাশীষ রুদ্র, সাইফুর রহমান, সায়েদুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দীন আহম্মদ, পুতুল দত্ত, মাহবুবুর রহমান, অরুণ মল্লিক, বিশ্বজিত দাশ, মো. নুরুচ্ছফা, কানু বিকাশ নন্দী, সাদেক উল্লাহ, শাপলা দাশগুপ্ত, সারাহ্ হোসেন, মো. শাহেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, পরাগ মনি, আবদুল অদুদ, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, শাহনাজ সুলতানা, সাঈদুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, শফিউল আলম, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজলী দেবী, আনোয়ার হোসেন, সাদিয়া নুর, লিটন বিশ্বাস প্রমূখ। এদিকে কর্মবিরতির কারণে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের অভ্যন্তরে কর্মচারীদের পাশাপাশি সেবা প্রার্থীদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক দিনের চেয়ে তুলনামূলক কম ছিল। সকালে সেবা নিতে আসা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে পরে ফিরে গেছে। জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় কোনো মামলার শুনানি হয়নি বলে জানা যায়। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে দূর দূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রার্থীরা।
সংগঠনটির চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ সভাপতি স্বপন কুমার দাশ আজাদীকে জানান, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূমি অফিস কার্যালয়গুলোতে কর্মরত ১১ থেকে ১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীগণ প্রশাসনিক ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সহযোগী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মাঠ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের পদবী ও গ্রেড উন্নীত করা হলেও একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর ১১ থেকে ১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদবী ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের দীর্ঘদিনের দাবি আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি। এটা একটা বৈষম্যমূলক আচরণ। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবি আদায়ের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
বিশ বছর ধরে দাবি বাস্তবায়নে তারা আন্দোলন করে আসছে বলে জানান তিনি। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি যৌক্তিক সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু এরপরও এখনো দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়নি।