চসিকে ২৮ জনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ

তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিদ্যুৎ বিভাগে ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে’ ২৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তা অনুসন্ধানে নেমেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হককে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য গতকাল নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৃজিত পদের বিপরীতে অতিরিক্ত ৭৩ জন বৈদ্যুতিক হেলপার কর্মরত আছে বিদ্যুুৎ বিভাগে। অবস্থায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গত ২৮ জুলাই আরো ২৭ জন বৈদ্যুতিক হেলপার এবং একজনকে বাতি পরির্দশক পদে নিয়োগ দেয়া হয় সংস্থাটিতে। বৈদ্যুতিক হেলপার নিয়োগ দেয়া হয় ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে। যদিও পদটিতে নিয়োগের শর্ত রয়েছে আউটসোর্সিং নীতিমলা অনুসরণের। এ নীতিমালায় একজন বৈদ্যুতিক হেলপারের বেতন ‘সর্বসাকুল্যে’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নিয়োগকৃতদের বেতন দৈনিক ভিত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছ। অর্থাৎ আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।
নিয়োগ দেয়া এসব হেলপারদের গত ৫ আগস্ট পদায়ন করা হয়। এতে দুজনকে প্রধান অফিসে পদায়ন করা হয়। অথচ তখন সেখানে দশজনের অধিক কর্মরত ছিল। এছাড়া কয়েকজনকে লিফট অপারেটর, স্কেলেটর অপারটর ও মিটার রিডারের সহযোগী হিসেবে পদায়ন করা হয়। একজনকে চসিক পরিচালিত থিয়েটার ইনস্টিটিউটের লিফট অপারেটর হিসেবে পদায়ন করা হলেও সেখানে তখন কর্মরত ছিল দুইজন।
অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট হেলপার ও বাতি পরিদর্শককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, একজন প্রকৌশলীর গাড়ি চালক ও সংস্থাটির শ্রমিক সংগঠনের একজন নেতার মাধ্যমে এখানে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। অবশ্য পাঁচজনকে পোষ্য কোটায় নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলীর এক নিকটাত্মীয়কে সম্প্রতি অস্থায়ী বৈদ্যুতিক হেলপার থেকে প্রকৌশল সড়ক তদারকাররী হিসেবে স্ব-বেতনে পদোন্নতি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে গত ২৭ আগস্ট দৈনিক আজাদীতে ‘চসিকে নিয়োগ বাণিজ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এদিকে গতকাল তদন্তের নির্দেশনা প্রসঙ্গে জানতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হককে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেন নি। চসিক প্রশাসক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, তদন্তের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছে। এ বিষয়ে আমি অবগত। যদিও চিঠিটি আমার দপ্তরে এখনো আসেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়েছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধনাগরিক সেবা : সমন্বয়ে একমত সংস্থাগুলো