‘ধর্ষণের জন্য নাকি পোশাক দায়ী, আর মেয়েদের ঢলে পড়া স্বভাব। বলি, চার বছরের শিশুটা করেছিলো কোন পাপ?’ একের পর এক ধর্ষণ, নিপীড়ন। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, মিছিল, মিটিং, মহাসমাবেশ। সকলের দাবির মুখে অবশেষে আইন সংশোধন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অনেকেই বলেছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে ধর্ষণের মতো অপরাধ কমবে, দেশবাসীর মধ্যেও স্বস্তি ফিরে আসবে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিঃসন্দেহে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। তবে শুধুমাত্র এই একটি পদক্ষেপ ধর্ষণ নির্মূলে পর্যাপ্ত নয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ। স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে এই শাস্তি কার্যকর করা গেলে তবে কমে আসতে পারে। তবে এতকিছুর উর্ধ্বে মূল যে বিষয়টির পরিবর্তন প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মানুষের মানসিকতা, বরং বলা যেতে পারে ধর্ষক নামের পশুগুলোর নোংরা চিন্তার পরিবর্তন। ধর্ষণ সেটা ধর্ষণই। কোনো মেয়ে, তার পোশাক কিংবা তার আচরণের দিকে আঙুল তোলা নয়, বরং বদলে যাক মানুষের ভাবনা। আর দ্রুততম সময়ে শাস্তি কার্যকর হোক ধর্ষকের।