জাল ও ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাকারী পিকলু দত্ত নামে স্বামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করেছেন স্ত্রী। গতকাল অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে প্রতারণার অভিযোগে এই সিআর মামলাটি করেন অন্তরা সেন গুপ্তা নামে ওই স্ত্রী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নজরুল ইসলাম গতকাল আজাদীকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা ও দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামি পিকলু দত্ত চন্দনাইশের বরমার সুধীর কুমার দত্তের ছেলে। বর্তমানে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জামাল খান লেইনের বাসিন্দা। আসকারদীঘি পশ্চিম পাড়ে মৌসুমী মেডিকেল হল নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে পিকলুর। মামলার বাদী অন্তরা সেন গুপ্তাও চন্দনাইশের বাসিন্দা
মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে অন্তরার সাথে পিকলুর বিয়ে হয়। বাদী অভিযোগ করেন, বিয়ের আগে নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেয় পিকলু। পরবর্তীতে বাদী জানতে পারে তাঁর স্বামী এমবিবিএস ডাক্তার নয়। জাল ও ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। মূলত সে একজন প্রতারক। এ বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য স্বামীর হুমকির প্রেক্ষিতে মামলার বাদী গত ৪ নভেম্বর কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি পিকলু দত্ত নিজেকে এমবিবিএস(সিইউ),পিজিটি(ফিজিক্যাল মেডিসিন), পিজিটি(মেডিসিন), সিসিডি(বারডেম) পরিচয় দিয়ে আসছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে আসছে। চন্দ্রঘোনায় বীণা মেডিকেল হল নামে একটি চেম্বারেও রোগী দেখে আসছে আসামি পিকলু দত্ত।