পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল করে কোনো পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হচ্ছে না। পার্বত্য জেলা পরিষদের ভোগ দখলীয় বন্দোবস্তির প্রক্রিয়াধীন লামা উপজেলাধীন নাইতং পাহাড়ে ৩০২ নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় ২০১৪ সালে হটিকালচার এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ ও ছোট ছোট কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক বান্দরবান সেনানিবাসের প্রস্তাবনা এবং অনুরোধে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর ৬৯ রিজিয়ন দু’পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন হয়। চুক্তিতে ১৮টি শর্তাবলী প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। আর সেখানেই নির্মিত হবে পাঁচ তারকা হোটেল। গতকাল রোববার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এসব কথা বলেন।
বান্দরবান শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি সংলগ্ন নাইতং পাহাড় এলাকায় পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ ও পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বান্দরবান জেলা পরিষদ। এসময় বান্দরবান জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিঙ মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা আরও বলেন, সামপ্রতিক সময়ে চিম্বুক পাহাড়ে পর্যটন ও পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের ইস্যুতে বিভিন্ন পক্ষ মানববন্ধন কর্মসূচিসহ অযৌক্তিক আন্দোলন ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। মূলত পর্যটন গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটির আশেপাশে কোনো পাহাড়ি গ্রাম বা পাড়া এবং অতীতেও ওই স্থানে কোনো বসতবাড়ি ছিল না। জায়গাটি চিম্বুক পাহাড়েও নয়, এটি লামা উপজেলার ৩০২ নং মৌজার নাইতং পাহাড় এলাকায় অবস্থিত। তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন একটি পক্ষ চায় না। আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন বা হোটেল মোটেল গড়ে ওঠে বান্দরবান এগিয়ে যাক বিষয়টি অনেকে মানতে পারছেন না। স্বার্থন্বেষী একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সুশীল সমাজ’সহ স্থানীয়দের এদের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।