আজ থেকে দুই দশক আগের কথা। আমাদের ফাইনাল ইয়ারে (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং) ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস পড়াতেন সালাউদ্দিন স্যার (ড. সালাউদ্দিন আহমেদ) চমৎকার একজন শিক্ষক ছিলেন। স্যার একদিন ক্লাসে এসে জানালেন উনি উচ্চ শিক্ষা/প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ চলে যাচ্ছেন। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
একদিন পরই সি আই স্যার হ্যাংলা-পাতলা স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট টাইপের একজনকে ক্লাসে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিলেন উনিই তোমাদের নতুন স্যার। সবাই বোকা বোকা চোখে একজন আরেক জনের দিকে তাকাচ্ছিলাম। দু’একদিনের মধ্যে স্যার উনার সাবলীল পাঠদানের মাধ্যমে সবাইকে আকৃষ্ট করে ফেলেন। বিশেষ কারণে স্যারের সাথে আমার ভাব জমে যায়! ঘোর কাটতে না কাটতে একদিন শুনি স্যারও চলে যাচ্ছেন। মাত্র মাস খানেকের শিক্ষকতায় অনেক ছাত্রের মনে স্থান করে নেওয়া বেশ কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটাকে খুব সহজ করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদানের পর স্যারের সাথে যোগাযোগ হয়নি কখনো। স্যার এখন বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফেসবুকের কল্যাণে আবার স্যারের সাথে যোগাযোগের সুযোগ হল। বলছিলাম বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন স্যারের কথা।