সৃষ্টির সেরা জীব মানবজাতি। যাদের সততা, বিবেক, মানবতা ও কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা একান্ত আবশ্যক। তাদের অভাবনীয় মেধা ও বুদ্ধি মানব সভ্যতাকে এক রূপ হতে অন্য রূপে রূপান্তরিত করতে ব্যস্ত। যার দরুণ প্রাচীনকালে আদিম শেষে সভ্য জগতে পরিবর্তিত। আদিম সমাজে মান ও হুঁশের অভাব থাকলেও একতা ছিল শক্ত খুঁটি যা বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। মানব সভ্যতার কল্যাণে এক পক্ষ নব সৃজনশীলতার কাজে ব্যস্ত, আরেক পক্ষ হিংসা, লোভ, ক্রোধ দিয়ে প্রকৃতিসহ মানুষকে ধ্বংস করতে ব্যস্ত যেটা ক্রমশ বাড়ছে। যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথেই মানুষের বিবেক ও বদলে যাচ্ছে, যেখানে মানবতা অস্তিত্বহীন। নিত্য জীবনে ঘটছে উপকারীর অপকার করা, অন্যের প্রতিভা দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়া, মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে সততার গুণকে গলা টিপে মারা এই যা। শয়তান মানসিকতার লোকেরা স্বার্থ রক্ষায় অপরকে ধ্বংস করে মানব সমাজে শক্তভাবে টিকে থাকতে চাই। সৎ ও উপকারী ব্যক্তি ধাপে ধাপে অবহেলিত। কিন্তু ঈশ্বর কখনোই অন্যায় মেনে নেয় না। অসতের রাজত্ব ও দাপট সবসময় ক্ষণিকের জন্য।
এই পৃথিবীতে অর্থ, অহংকার সবই ক্ষণস্থায়ী, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। চিরস্থায়ী শুধু মানুষের সততা আর আদর্শতার গুণ। প্রকৃতির করোনা জানিয়ে দিল, প্রকৃতি ধ্বংস, অপরকে ঠকানো বা সৎ ও উপকারী ব্যক্তিকে অবমূল্যায়ন করা মোটেও উচিত নয়। অবমূল্যায়নে তাদের রূপ সাময়িক নষ্ট হলেও প্রকৃতিগতভাবেই তারা স্বরূপে ফিরে চিরস্থায়ী থাকে। পরিশেষে ঘটে, দুর্নীতিবাজ, অকৃতজ্ঞ আর মিথ্যাবাদীর পতন। যেটা তারা সঠিক সময়ে উপলব্ধি করতে পারে না।