অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তায় একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ তথ্যটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি। বিডিনিউজ
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) অনুশীলনের সময় সাকিবের সঙ্গে দেখা যায় ঐ নিরাপত্তাকর্মীকে। মাঠে আসার সময়, মূল মাঠ থেকে ইনডোরে যাওয়ার সময় তাকে দেখা গেছে সাকিবের পাশে।
বিভিন্ন সময় বিসিবি’র বিদেশী কোচ ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় আগেও ঐ নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন এই দায়িত্বে।
দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়, ভারতের কোলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধন করেছেন সাকিব। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক শ্রেণির মানুষের প্রবল সমালোচনার শিকার হন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার বলে বিবেচিত এই তারকা।
মহসীন তালুকদার নামে সিলেটের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লাইভে ধারালো অস্ত্র হাতে সাকিবকে কোপানোর হুমকি দেন। পরে ২৫ বছর বয়সী ঐ হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানান, পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই তারা সাময়িক এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা সম্প্রতি হয়েছে। এজন্যই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হুমকির ঘটনাকে যদিও আমরা একজনের ব্যক্তিগত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছি তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
নিজাম উদ্দিন চৌধুরি আরো বলেন, “সাকিবের নিজের একটু কনসার্ন ছিল। সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় সেটি স্বাভাবিক। আমরাও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্রেফ তাকে একটু মানসিকভাবে কামফর্টেবল রাখতেই এটা করা হয়েছে। তার মুভমেন্টের সময় পাশে থাকবেন ঐ নিরাপত্তারক্ষী। সাময়িক ব্যবস্থা এটি, আশা করি লম্বা সময় রাখতে হবে না।”
কোলকাতায় যাওয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সেলফি তুলতে চাওয়া এক ভক্তের মোবাইল ফোন সাকিব ছুঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠে। মোহাম্মদ সেক্টর নামে ঐ ব্যক্তি দাবি করেন, সাকিব উগ্র মেজাজে তার ফোন কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলেন। সেটি নিয়ে বিতর্কের রেশ শেষ না হতেই কালীপূজা উদ্বোধনের খবর নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
পরে সোমবার রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাকিব দাবি করেন, ফোন ভাঙার ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল না। কোলকাতায় পূজা উদ্বোধন করতে যাননি বলেও জানান তিনি।
তবে অভিযোগগুলো তিনি স্বীকার না করলেও ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভুল-ত্রুটির জন্য।