উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লার জন্মদিন ছিল গতকাল। মঙ্গলবার ৬৮ বছরে পা রাখেন দেশের বরেণ্য এই কণ্ঠশিল্পী। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন এ গায়িকা। প্রতি বছর নিজের জন্মদিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়েই পালন করতেন তিনি। তবে এ বছর চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে নিজের জন্মদিনকে ঘিরে কোনো আয়োজন রাখেননি তিনি। রুনা লায়লার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী।
দীর্ঘ সংগীতজীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। পাকিস্তানের ‘জুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ সংগীতজীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এ ছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিঙ, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী। জন্মদিনের দিন ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত হয় রুনা লায়লার সুর করা ‘এই দেখা শেষ দেখা’ গানটি। গানটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সংগীতায়োজন করেছেন রাজা ক্যাশেফ।