তদারকির অংশ হিসেবে নগরীর ইপিজেড, কাটগড় ও পতেঙ্গা এলাকার ১৪টি বেসরকারি ল্যাব-ক্লিনিক আকস্মিক ভিজিট (পরিদর্শন) করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি টিম। সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি সাথে ছিলেন। পরিদর্শনকালীন কোনো টেকনোলজিস্ট না পাওয়ায় চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক্স-রে পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো বে-সিটি মেডিকেল সার্ভিসেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সেইফ ল্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের দুটি ইউনিট।
পরির্দশনে এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডিপ্লোমাধারী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো টেকনোলজিস্ট পায়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিম। স্বীকৃত টেকনোলজিস্ট ছাড়াই চলছিল এসব ল্যাবের কার্যক্রম। যার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানকে এক্স-রে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি আজাদীকে বলেন, ডিপ্লোমাধারী কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো টেকনোলজিস্ট এসব ল্যাবে পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা আছে, এমন অভিজ্ঞতা সনদধারী স্টাফ তারা রেখেছেন। এক সময় এ ধরনের অভিজ্ঞতা সনদধারীদের নিয়োগ দিয়ে ল্যাব পরিচালনার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন সে সুযোগ ৫ম পৃষ্ঠার ১ম কলাম
নেই। টেকনোলজিস্ট হিসেবে ডিপ্লোমাধারী অথবা অন্তত ৩/৪ দিনের একটি আরসিও (রেডিয়েশন কন্ট্রোল অফিসার) প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারীকে নিয়োগ দিতে হবে। ল্যাবগুলোকে এ বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
সিভিল সার্জন বলেন, তাদেরকে বলেছি, টেকনোলজিস্ট হিসেবে অন্তত ৩/৪ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করা লোকবল লাগবে। যতদিন এই শর্ত পূরণ না হবে, ততদিন ল্যাবগুলোকে এক্স-রে সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। অবশ্য, এই কয়টি বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা মোটামুটি সন্তোষজনক ছিল। বলতে গেলে বড় ধরনের কোনো অনিয়ম পাইনি। নজরদারির কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে বলে ধারণা করছি। এ নজরদারি অব্যাহত থাকবে।