হাটহাজারী-অক্সিজেন মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১২ দিনের ব্যবধানে শিক্ষকসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সকালে বড়দীঘির পাড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. মুছা সওদাগর (৭৭) নামে রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মুছা সওদাগর উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের বদিউল আলমহাট এলাকার আলী মেম্বার বাড়ির মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর পর জনতা সড়কে ব্যারিকেড দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর মহাসড়কের এগার মাইল এলাকায় ট্রাক, কার ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার টেংরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংথুই দেওয়ানের (২৫) মৃত্যু হয়। তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে মানিকছড়ি থেকে নগরীর দিকে আসছিলেন। এসময় প্রাইভেটকারের তিনযাত্রী আহত হন। এরপর গত ১৫ নভেম্বর মহাসড়কের বড়দীঘির পাড় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দিদারুল আলম বুলু নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা যান। ৫ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
এসময় আরো দুই ব্যক্তি আহত হন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামগামী একটি মিনিবাস (চট্টমেট্রো- জ- ১১-১৭২৭) পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মুছা সওদাগরের মৃত্যু হয়। এই সড়কের অনেক জায়গায় ডিভাইডার না থাকা এবং থাকলেও সেখান দিয়ে লোকজন ও গাড়ি পারাপারের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটছে। হাটহাজারী-অক্সিজেন মহাসড়ক দিয়ে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার প্রায় ১৮টি রুটে গাড়ি চলাচল করে। অনেক সময় মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িগুলো দ্রুত গন্তব্য পৌঁছতে বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক আইন না মেনে চলাচল করে। এসময় দুর্ঘটনা শিকার হন যাত্রী ও পথচারীরা। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।