তরুণ ক্রিকেটার সজীবুল ইসলাম সজীবের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে নিজের ঘরে। ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। শনিবার রাতে কোনো এক সময় রাজশাহীর দুর্গাপুরে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য। সজীবের স্বজনদের দাবি, আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ না পাওয়ার ‘হতাশা থেকেই আত্মহত্যা’ করেছেন তিনি। সজীবের চাচাত ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার রাতের কোনো এক সময় শয়নকক্ষে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সজীব। পরদিন সকালে ঘর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে ভেতরে তাকে ঝুলন্তে অবস্থায় দেখে। এরপর থানায় খবর দেওয়া হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, খবর পেয়ে রোববার দুপুরে পুলিশ গিয়ে সজীবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পারিবারিকভাবে আপত্তি না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সজীবের বড়ো ভাই তশিকুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল সজীবের। এজন্য অনেক বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে।
প্রশিক্ষণের জন্য তিনি রাজশাহী কাটাখালির ‘বাংলা ট্র্যাক’ নামে একটি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই একাডেমির সিইও এবং হেড কোচ হলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না সজীবের মতো ভদ্র, প্রতিভাবান একটা ছেলে এমন কাজ করতে পারে।’