চার সহকর্মীকে অপসারণের প্রতিবাদে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ধারণা করছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার চীনের পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব পাস করে। যেটিতে বলা হয়েছে, আইনপ্রণেতারা অযোগ্য বিবেচিত হবেন যদি তারা হংকংয়ের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে, নগরীটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে এবং নগরীর বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার জন্য বিদেশি শক্তিগুলোকে আহ্বান জানায় কিংবা অন্য কোনোভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়। প্রস্তাবে নগর কর্তৃপক্ষকে আদালতের শরণাপন্ন না হয়েই আইন প্রণেতাদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
এরপর বুধবারই হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ নতুন এই আইনের অধীনে নগরীর আইন পরিষদের চার বিরোধীদলীয় সদস্যকে বরখাস্ত করে। বেইজিং এই চার জনকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিনই চার সহকর্মীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আইন সভার গণতন্ত্রপন্থি বলে পরিচিত বিরোধীদলীয় ১৫ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গতকাল এই আইনপ্রণেতারা নগরীর আইন পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেননি বলে জানিয়েছে বিবিসি। হংকংয়ের ৭০ আসনের আইন পরিষদে ২১ জন বিরোধীদলীয় সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে চার জনকে বরখাস্ত ও আরও ১৫ জন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এখন মাত্র দুই জন আইন পরিষদে আছেন। পদত্যাগকারী আইন প্রণেতারা ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে। গতকাল চীনের হংকং ও ম্যাকাও দপ্তর এই গণপদত্যাগের নিন্দা করে একে ‘প্রহসন’ বলে বর্ণনা করেছে এবং এই পদক্ষেপকে চীন সরকারের কর্তৃত্ব ও হংকংয়ের মূল আইনের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওই আইন প্রণেতাদের ‘একগুঁয়ে প্রতিরোধী মনোভাব’ প্রকাশ পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।