বন্ড সুবিধায় চীন থেকে গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ঘোষণায় কন্টেনার ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট নিয়ে আসে সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) প্রতিষ্ঠান হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড। মিথ্যা ঘোষণায় আনা উক্ত সিগারেট আটক করা হয়েছে। আমদানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আনুমানিক ২৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টম কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দার যৌথ অভিযানে শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটিত হয়। দৈনিক আজাদীকে গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত ৩ নভেম্বর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটি খালাসের জন্য নগরীর দক্ষিণ আগ্রাবাদের আবিদার পাড়ার চান্দু ম্যানশনের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চান্দু কর্পোরেশনের মাধ্যমে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-২০০৪৮২) দাখিল করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্যের চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়। আমদানিকারক ১৮ টন গার্মেন্টস অ্যাকসোসরিজ ঘোষণা দিলেও বাস্তবে বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের ৮৫০ কার্টনে এক কোটি ৭০ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট নিয়ে আসে। শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে। সিগারেট আমদানির মাধ্যমে আনুমানিক ২৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানটি। সাধারণত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালগুলো শুল্কমুক্তভাবে দ্রুত খালাস দেয়া হয়। এ সুযোগের অপব্যবহার করে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় নিয়ে আসে সিগারেট। বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা বহির্ভূত সিগারেট আমদানির মাধ্যমে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করেছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কাস্টমস ও ফৌজদারি আইনে দুটি মামলা করা হবে।