জলদস্যু মুক্ত হওয়ার পথে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূল

মহেশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

সরকারের দেয়া সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করে জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করলে শান্তির সুবাতাস বইবে পতেঙ্গা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ২শ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায়। এমনটি আশা করছে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।
সরকার ২০১৮ সাল থেকে জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়ায় এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র সমর্পণ করে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁশখালীতে ৩৪ জন জলদস্যু ৯০টি অস্ত্র ও ২ হাজার ৫৬ রাউন্ড কার্তুজসহ আত্মসমর্পণ করে। বিষয়টিতে উপকূলীয় এলাকায় সন্ত্রাস দমনে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রথম দফায় সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র‌্যাবের ডিজির উপস্থিতিতে মহেশখালীর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ বাহিনীর ৩৭ জনসহ মোট ৪৩ জন জলদস্যু অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২য় দফায় ২০১৯ সালে ২২ নভেম্বর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে ১২ বাহিনীর ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর। এসময় তারা দেশি-বিদেশি ১৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮৪ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জমা দেয়। এরপর গতকাল ১১ বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে কোনো জলদস্যুকে আস্তানা গাড়তে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, একসময় উপকূলের লোকজন জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ছিল। এখন সেরকম পরিস্থিতি আরে নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্ধকার পথে আর না যাওয়ার প্রতিজ্ঞা বাইশ্যা ডাকাতের
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর প্রতি এ কেমন নৃশংসতা