করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে নগরীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে মাস্ক পরিধান না করার অপরাধে ৮৯ জনকে ১৭ হাজার ৭শ’ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ও মো. আলী হাসান নগরীর আন্দরকিল্লাহ, টেরিবাজার, হাজারীগলি, চেরাগী পাহাড় ও হকার্স মার্কেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন। ভবিষ্যতে মাস্ক পরিধানের অঙ্গীকার করে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন্দরকিল্লাহ, টেরিবাজার, হাজারীগলি, চেরাগী পাহাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। তিনি ৭৫ জনকে বিভিন্ন অংকে মোট ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি মুচলেকা নেন। অন্যদিকে দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত নগরীর হকার্স মার্কেটে অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান। এসময় তিনি মাস্ক না পরায় ১৪ জনকে ২২শ’ টাকা জরিমানা করেন। পরবর্তীতে মাস্ক ছাড়া ঘর হতে বের হবেন না মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে স্বাস্থ্যবিধি ঘোষণা করেছে। কিন্তু অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরিধান না করে জনাকীর্ণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। এতে একদিকে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, অন্যদিকে নিজেকে ও অন্যদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। যে কারণে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মহানগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে দেখা গেছে, নানান শ্রেণি পেশার মানুষ, বিশেষ করে দোকানদার, চাকুরিজীবী, ড্রাইভার, যাত্রী, পথচারী ছাড়াও শিক্ষিত সচেতন মানুষরাও মাস্ক পরিধানে অবহেলা করছেন। যে কারণে ৮৯ জনকে ১৭ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে তারা মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করেন।’ মাস্ক পরতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।