নগরীর আগ্রাবাদে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমার্স কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে মিন্টু চৌধুরী (৩৫) নামে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার একটি র্যালি হওয়ার কথা। ওই র্যালির বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত মিন্টু চৌধুরী ২৮নং ওয়ার্ডের বাদামতলী মাজারগেইট ছালে আহমদ চেয়ারম্যানের বাড়ির কামাল চৌধুরীর ছেলে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আগ্রাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মিন্টু চৌধুরী নামের আহত একজনকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তাকে মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন আহত মিন্টু চৌধুরী।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আহত মিন্টু চৌধুরী মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত। যিনি আঘাত করেছেন তার নাম রমজান। রমজান স্থানীয়ভাবে আ জ ম নাছির গ্রুপ সমর্থিত বলে আহত ব্যক্তির সাথে আসা লোকজন জানিয়েছেন।’
আগ্রাবাদ এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও রক্তাক্ত জখম একজনকে হাসপাতালে ভর্তির দুই ঘণ্টা পরও (রাত পৌনে ১২টায়) জানতে চাইলে কিছুই জানেন না বলে জানান ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ। তিনি বিষয়টি জেনে এই প্রতিবদেককে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে ডবলমুরিং থানার ডিউটি অফিসারের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি জানান ঘটনাস্থলে এসআই শরীফ উদ্দিন রয়েছেন। এরপর ডবলমুরিং থানার এসআই শরীফ উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সংঘর্ষের একটি ঘটনা শুনে কমার্স কলেজের সামনে এসে কিছুই পাইনি। সব দোকানপাটও বন্ধ।’