রাজধানীতে পৃথক ৯ স্থানে ৯টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশ্যেই যানবাহন ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি জানায়, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্যমতে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫ পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর ১টার দিকে মতিঝিল থানাধীন মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে, ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলতি গাড়ি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে, ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন এবং বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন পার্কলিং-এ জৈনপুরী পরিবহন, বিকেল ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পুবালী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে এবং ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, সহিংসতার উদ্দেশ্যেই পার্কিং করা সরকারি যানবাহনে এবং রাস্তায় চলমান গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা রয়েছে। সরকারি যানবাহন ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা গুরত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সহিংসতায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট টহল। এখন পরিস্থিতি আয়ত্তে রয়েছে।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অন্তত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমানও রয়েছেন। তবে আটকদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত না থাকলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বাকিদের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।