বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ও সিআরবি জোড়া খুনের মামলায় অন্যতম আসামি সাইফুল আলম লিমনকে অস্ত্র মামলায় জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার সাথে গ্রেপ্তার হওয়া সজল দাশকে পুলিশের হেফাজতে এনে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ গতকাল আজাদীকে বলেন, রোববার নির্ধারিত দিনে আদালত শুনানি শেষে আসামি সাইফুল আলম লিমনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে। এতে পুলিশ জেলগেটে লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অন্যদিকে সজল দাশ নীরবকে দুদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মেহেদিবাগের ফ্ল্যাট থেকে লিমনকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার সহযোগী সজল দাশের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় আদালত রোববার শুনানির দিন ধার্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে নির্ধারিত দিনে লিমনকে আদালতে তোলার আগে তার সমর্থকরা আদালত এলাকায় জড়ো হন। পরে প্রিজন ভ্যানে কারাগার থেকে আদালতে আনার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন।
লিমনকে গ্রেপ্তারের পর সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মুহাম্মদ আলী হোসেন আজাদীকে জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে আদালতে সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি মোক্তার হোসেনকে মারধর করার মামলায় লিমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শেষ রাতে সহযোগী সজল দাশের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সজল বলেছে তাকে লিমন পিস্তলটা রাখতে দিয়েছে। এ ঘটনায় সজল দাশ ও লিমনকে আসামি করে পৃথক মামলা হয়েছে। আগে থেকে করা মারধরের মামলায় লিমনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।