সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে আজ

| রবিবার , ৮ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ‘বিশেষ অধিবেশন’ বসছে আজ। চলতি একাদশ সংসদের দশম এ অধিবেশন সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। এটি বিশেষ অধিবেশন হলেও প্রথম কার্যদিবস চলবে সাধারণ অধিবেশনের মত। সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। এর আগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হবে।
কোভিড-১৯ মহামারীকালের আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চলবে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে এ বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তার অংশ হিসেবে গত ৯ জানুয়ারি সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই বিশেষ অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত হয়। খবর বিডিনিউজের।
কথা ছিল, ২২-২৩ মার্চ এই বিশেষ অধিবেশন হবে। অধিবেশনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হবে। কিন্তু বিশ্বের অন্য সব দেশের মত বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়, সংসদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো ‘বিশেষ অধিবেশন’। এর আগে ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১৮ জুন সংসদে যে বিশেষ বৈঠক বসেছিল, সেখানে যুগোস্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি বরাহগিরি ভেঙ্কটগিরি ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার মার্চে যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল, সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর স্পিকারদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল; কিন্তু তখন তা স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে ৯ নভেম্বর বিশেষ অধিবেশনে সংসদ কক্ষে দেশীয় বিভিন্ন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছেন না বলে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্পিকার সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সমপ্রচার থেকে অধিবেশন দেখার আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ৯৪
পরবর্তী নিবন্ধফলাফল প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের