দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হয়েছিল : ফখরুল

| রবিবার , ৮ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক কারণে ৩ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক সিপাহী এবং জনগণ ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে। প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর থেকেই এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এবং তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর
রহমান। খবর বিডিনিউজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিনটি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ এর পূর্বে যেভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, আজকে আবার ঠিক একই কায়দায় বাংলাদেশের জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী। ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া। বিএনপি এই দিনকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস এবং জাসদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিয়ে না করেও একসঙ্গে থাকা যাবে আমিরাতে
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের একটি কালো দিন : তথ্যমন্ত্রী