বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু

বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান সদরের পারাহিতা সংঘরাজিতা বৌদ্ধ বিহার এবং খাগড়াছড়ির আর্যপুর বন বিহার, য়ংড বৌদ্ধ বিহার, বৈজয়ন্তী বৌদ্ধ বিহার ও পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবান সদরের পারাহিতা সংঘরাজিতা বৌদ্ধ বিহার ৩ দিনব্যাপী এই দানোৎসব শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা প্রদান করেন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সংঘনায়ক ভদন্ত উ: উইচারিন্দা মহাথেরো। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা, সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, পারাহিতা সংঘরাজিতা বৌদ্ধ বিহারের উপাসক-উপাসিকাবৃন্দসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অংশ নেন।
প্রথমদিনে পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, চীবর উৎর্সগসহ নানা ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা উদযাপন করছে কঠিন চীবর দান অুনষ্ঠান। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানান, কঠিন চীবর দানোৎসবে বৌদ্ধ ধর্মের নারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুতা থেকে কাপড় (চীবর) বুনে, রং করে সেলাই বিহীন চীবর ধর্মীয় গুরু ভিক্ষুদের দান করেন। দানোৎসবের মাধ্যমে কায়িক, বাচনিক ও মানসিক পূণ্য সঞ্চয় হয় বলেই বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে ‘শ্রেষ্ঠ দান’ কিংবা কঠিন চিবর দান বলা হয়। চীবর তৈরি করে ভিক্ষুদের দানোৎসবে জেলার বিভিন্ন পাড়া থেকে শতাধিক বিভিন্ন বয়সের নারীরা অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে এই দানোৎসব মাসব্যাপী চলবে বলে জানা গেছে।
আমাদের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়িতে সবচেয়ে বড় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান হচ্ছে ধর্মপুর আর্য বন বিহারে। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সকালে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কারদান, পঞ্চশীল গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকালের পর্বে কঠিন চীবর দান ও ধর্মালোচনা সভা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির, বোধিপাল মহাস্থবির, ভদ্দশী মহাস্থবির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঐশ্বর্য শ্রীধর
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ