সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে কাস্টমসে গণশুনানি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রতি সপ্তাহে গণশুনানির আয়োজন করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় শুনানি। সভায় সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগের কথা শুনেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম। এতে কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনাররা উপস্থিত থাকেন। সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে কমিশনার সাথে সাথে কর্মকর্তাদের সমাধানের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, কাস্টমসের সেবার মান বাড়াতে আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। সেবাগ্রহীতারা যাতে ভোগান্তিবিহীন সেবা নিতে পারেন এটিই আমাদের লক্ষ্য। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমার দরজা সবার জন্য খুলে দিয়েছি। যে কেউ আমার সাথে সাক্ষাত করে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারছেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেবা নিতে গিয়ে কেউ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয, সেজন্য আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কাস্টম হাউস প্রাঙ্গণে আমার দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নম্বর সংবলিত ফেস্টুন টানিয়েছি। যে কেউ ফোনে আলাপ করতে পারেন। একই উদ্দেশ্য নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করেছি। সেবাগ্রহীতারা প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তার কথা বলতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে তিন সপ্তাহ গণশুনানির আয়োজন করেছি। এটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
গণশুনানির ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, গণশুনানির বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার অত্যন্ত আন্তরিক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নিচের সারির কর্মকর্তাদের। কাস্টমসের সকল কাজই সমন্বিত। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির আন্তরিকতায় সব কিছু সমাধান হবে না। দেখা যায়, একজন সহকারী কমিশনার, রাজস্ব কর্মকর্তা কিংবা সহকারী রাজস্ব কমকর্তার কাছ থেকে যে ধরনের সেবা পাওয়ার কথা সেটি আমরা ঠিকভাবে পাচ্ছি না। আবার এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই অনেকেই চুপ থাকেন। অনেক কর্মকর্তা সোজা কাজকে কঠিন করে তুলেন। এসবের প্রতিবাদ করা যায় না। সম্প্রতি এরকম একটি বিষয়ের জন্য একজন রাজস্ব কর্মকর্তার হাতে আমাদের এক সিএন্ডএফ কর্মচারী শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। পরবর্তীতে কমিশনারের সাথে বৈঠকের পরে বিষয়টির সুরাহা হয়। কমিশনার কর্মকর্তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পের ভাষণের লাইভ সমপ্রচার বন্ধ করল আমেরিকার টিভি চ্যানেল
পরবর্তী নিবন্ধহতদরিদ্রের টাকা আত্মসাতেও মোজাম্মেল