যাচ্ছে ইয়াবা, আসছে অস্ত্র। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক মাদক ব্যবসা ও অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনাকারী এমন একটি চক্রের দুই রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। তাদের কাছে ২টি ম্যাগজিনসহ বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন। গত ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে বারোটার দিকে শাহ আমানত নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দ্বিতীয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের (লেদা ক্যাম্পের পাশে) মো. ইউসুফের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২১) ও একই এলাকার মৃত সিকদার মির্জার ছেলে মো. কামাল (৩০)। ওসি নেজাম উদ্দীন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে। আবার ঢাকা থেকে অস্ত্র নিয়ে আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আমরা এমন একটি খবর পেয়ে নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে অস্ত্রসহ রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করি। এসময় তার থেকে ২টি ম্যাগজিনসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক জানায়, পিস্তলটি ঢাকায় অবস্থানরত ইয়াবা ব্যবসায়ী থেকে সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত ইয়াবা ব্যবসায়ী কামালের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, টেকনাফ থানা পুলিশের সহায়তায় হ্নীলা লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে আরো জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের মতো ১০০ জনের একটা গ্রুপ রয়েছে। তাদের লিডার জনৈক মাস্টারের অধীনে দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল তারা। টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিনব কায়দায় সরবরাহ করে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনার জন্য এজেন্ট রয়েছে। ইদানিং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে লিডাররা অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে। তাদের লিডারের নির্দেশে ঢাকা থেকে ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্রটি টেকনাফে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।