চট্টগ্রামের সাবেক দুই জাতীয় দলের ফুটবলার আসাদুর রহমান এবং আনোয়ার হোসেন এবার হাঁটছেন পেশাদার কোচ হওয়ার পথে। নিজেদের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে নিজ শহর চট্টগ্রামে জেলা বা ক্লাব দলের হয়ে ফুটবল কোচিং করালেও এবার তাদের লক্ষ্য আরো বড় পরিসরে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা।
আর সে লক্ষে পেশাদার কোচিং এর প্রথম ধাপ ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স সম্পন্ন করেছেন আসাদ এবং আনোয়ার। স্কুল ফুটবল, কিশোর ফুটবল, পাইওনিয়ার ফুটবল হয়ে চট্টগ্রামের ফুটবল লিগে খেলেছেন আনোয়ার এবং আসাদ। এরপর ঢাকায় দু’জনই পা রাখেন পেশাদার ফুটবলের জগতে। প্রায় সমসাময়ীক এই ফুটবলারের জাতীয় দলে অভিষেকও হয় প্রায় একই সময়ে। ১৯৯৮ সালে আনোয়ার যেখানে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ান সেখানে আসাদের গায়ে লাল-সবুজের জার্সি উঠে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে। তবে জাতীয় দলে আনোয়ারের চাইতে এক বছর বেশি খেলেছেন আসাদ। ২০০৭ সালে যেখানে জাতীয় দলের জার্সি খুলে ফেলেছেন আনোয়ার সেখানে আসাদ জাতীয় দলকে বিদায় বলেছেন ২০০৯ সালে। তবে দুজনই জাতীয় দল ছাড়ার পরও দেশের ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন আরো কয়েক বছর। যদিও চট্টগ্রামে জেলার বয়স ভিত্তিক দল এবং ক্লাব দলকে কোচিং করিয়েছেন দুজনই। কিন্তু বড় পরিসরে যাওয়ার সে রকম চিন্তা করেননি কখনো। এরই মধ্যে ‘সি’ লাইসেন্স সম্পন্ন করা আসাদ এবং আনোয়ার আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করবেন আরো দুটি কোর্স। যার একটি হচ্ছে ‘বি’ লাইসেন্স এবং আরেকটি হচ্ছে কেবল জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারদের জন্য বিশেষ কোর্স ‘ডিপ্লোমা ইন কোচেস’ প্রোগ্রাম। এ দুটি কোর্স সম্পন্ন করার পর বাকি থাকবে ‘এ’ লাইসেন্স কোর্স। সে কোর্সটিও সম্পন্ন করতে চান এ দুজন। আর সেটি হচ্ছে দেশের মাটিতে কোচিং এর সর্বোচ্চ লাইসেন্স। কোচিং ক্যারিয়ারটা এখন আর আগের মতো নেই।
এখন লাইসেন্স না থাকলে দেশের সেরা লিগ কিংবা দ্বিতীয় স্তরের লিগে ডাক আউটে দাঁড়ানো যাবেনা। তবে দেশের যে সর্বোচ্চ ডিগ্রি রয়েছে কোচিং এর উপর আপাতত সে সব সম্পন্ন করতে চান চট্টগ্রামের দুই সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার আসাদ এবং আনোয়ার। তাদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হবে চট্টগ্রাম এবং দেশের ফুটবল তেমন প্রত্যাশা ক্রীড়ামোদিদের।