ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র তাৎপর্য ও শিক্ষা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি তাঁর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এরশাদ করেছেন, “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে অনুপম আদর্শ।” (সূরা: আহযাব:২১)
আমাদের মুক্তির লক্ষ্যে তাঁর নবীজির প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালবাসা প্রদর্শন করা আমাদের জন্য অপরিহার্য করেছেন। এরশাদ করেছেন, হে হাবীব বলুন! তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমার অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন, আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা : আলে ইমরান: ৩১)
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, অদ্বিতীয় তাঁর কোন অংশীদার নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি আমাদের অভিভাবক, মহান সর্দার, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় বান্দা ও প্রিয় রসূল। তাঁর প্রতি দরুদ সালাম বর্ষিত হোক, তাঁর পবিত্র বংশধরগণ, সম্মানিত সাহাবাগণ ও তাঁর পদাঙ্ক অনুসারীদের প্রতি করুণাধারা বর্ষিত হোক।
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা:
আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করুন! জেনে রাখুন, রবিউল আউয়াল এক বরকতমন্ডিত মহিমান্বিত মাস। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথা ধরাধামে নূরনবী বিশ্বমানবতার কাণ্ডারী মহানবীর শুভাগমনের স্মৃতি বিজড়িত মাস। যাঁর আগমনে বিশ্ব ভুবন আলোকিত। অজ্ঞতা, মূর্খতা, বর্বরতা ও জাহেলিয়াতের অমানিশা অপসৃত। যে মহান নবীর জন্ম দিবস পবিত্র ঈদে মিল্লাদুন্নবী হিসেবে ইসলামী সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্মরণীয় বরণীয়। আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।” (সূরা: আল মায়িদা:১৫)
সৃষ্টিকুলের প্রথম সৃষ্টি: সমগ্র সৃষ্টিরাজির মূল সরকারে দোআলম তাজেদারে মদীনা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যদি সৃষ্টি করা না হতো আসমান, যমীন, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, তৃণলতা, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, মানব-দানব, আটারো হাজার মখলুকাতের কিছুই সৃষ্টি হতো না। হাদীসে কুদসীতে স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেন, হে হাবীব, আপনাকে সৃষ্টি করা না হলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না।” (আল্লামা ইসমাঈল হক্কী: রুহুল বয়ান, খন্ড: ১০, পৃ: ৮৮০)
হযরত জাবের (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস: প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত জাবের ইবন আবদুল্লাহ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোক। আমাকে বলুন! আল্লাহ তা’আলা সর্বপ্রথম কোন বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন? নবীজি জবাবে বললেন, হে জাবির নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সকল বস্তুর পূর্বে সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। (মুসান্নাফে আব্দির রাজ্জাক, পৃ: ৬৩)
হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন (রা.) স্বীয় পিতা হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, “নিশ্চয় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি আদম আলাইহিস সালাম এর সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার বৎসর পূর্বে আমার প্রভূর সমীপে নূর হিসেবে ছিলাম।” (যুরকানী, খন্ড: ১, পৃ: ৪৯)
হযরত শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (র.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা’আলা সর্বপ্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি। সমগ্র সৃষ্টি আমার নূর থেকে সৃজিত।” (মুতালিউল মুসিররাত শরহে দালায়েলুল খায়রাত, পৃ: ৭২, মুদারেজুন নবুওয়াত, খন্ড: ২, পৃ: ১)
আদম আলাইহিস সালামের কপালে নূরে মোহাম্মদী: ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি (রা.) ইমাম ইউসুফ বিন ইসমাঈল নিবহানী (র.) বর্ণনা করেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আ:) কে সৃষ্টির পর নূরে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদম (আ:)’র কপালে স্থাপন করেন। ফিরিস্তারা হযরত আদম (আ:) কে নূর নবীজির নূর মোবারকের কারণেই সিজদা করেছিলেন। (তাফসীরে কবীর, খন্ড:-২, পৃ: ৩১৮, জাওয়াহেরুল বিহার, পৃ: ১৫৩)
মিলাদুন্নবীর সাথে ঈদ যুক্ত করা প্রসঙ্গ: ঈদে মিলাদুন্নবী আরবি বাক্যটি তিনটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ঈদ, মিলাদ, নবী। ঈদ অর্থ:-খুশী-আনন্দ, উৎসব। মিলাদ অর্থ:-জন্ম দিন, জন্ম স্থান, জন্ম কাল, জন্ম বৃত্তান্ত। নবী অর্থ:- অদৃর্শের সংবাদ দাতা। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে আমাদের নবী যিনি অদৃশ্যের সংবাদ দাতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্ম দিনে ধরাধামে শুভাগমন উপলক্ষে শরীয়ত সম্মত পন্থায় খুশী-আনন্দ উদযাপন করা। এতোদপলক্ষে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, পরিবেশন করা, স্মরণ সভা, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোক সজ্জা, শোভা যাত্রা আয়োজন ও তাবাররুক পরিবেশন করা। কুরআন সুন্নাহ এজমা কিয়াসের আলোকে ইসলামের দলিল চতুষ্টয় এ বরকতম পুণ্যময় আমলের মূল ভিত্তি।
আল কুরআনে ঈদ শব্দের ব্যবহর: হযরত ঈসা (আ:) তাঁর প্রতি ঈমান গ্রহণকারী অনুসারীদের জন্য খাদ্য ভর্তি জান্নাতী দস্তরখানা অবতীর্ণ করার প্রার্থনা করেছিলেন, “ হে প্রভূ! আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। এটা হবে আমাদের পূর্ববতী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ।” (সূরা: মায়িদা, আয়াত: ১১৪)
আসমানী নিয়ামত খাদ্য অবতরণের দিবস যদি ঈদের দিবস হতে পারে, সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য স্রষ্টার সর্বোত্তম নিয়ামত হিসেবে প্রেরিত রাহমাতুল্লীল আলামীন পৃথিবীতে শুভাগমনের দিন কেন ঈদের দিন হবেনা? তাইতো মু’মীনের কন্ঠে উচ্চকিত সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জুমাআর দিন, আরাফার দিন, মুসলমানদের ঈদের দিন, ও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া ইসলামে তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই মর্মে মন্তব্য করা কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে অজ্ঞতা ও মূর্খতার পরিচায়ক। জুমার দিন ও আরাফার দিন এবং কুরআনের আয়াত “আল ইউমা আকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম” অবতরণের দিবস ঈদের দিবস হওয়াটা অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (তিরমিযী মিশকাত: পৃ: ১২১) নবীজি এরশাদ করেছেন, হে মুসলিম জাতি নি:সন্দেহে এই দিন জুমাবার দিবসকে আল্লাহ ঈদের দিন হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। (মিশকাত: ১২৩)
সাহাবায়ে কেরামের মিলাদুন্নবী উদযাপন: প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সম্মানিত সাহাবাগণ কর্তৃক নবীজির জন্ম দিন বেলাদত দিবস উদযাপনের বর্ণনা হাদীস শরীফের অসংখ্য বর্ণনা দ্বারা স্বীকৃত ও প্রমাণিত। “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একদিন তাঁর গৃহে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র বেলাদত দিবসের ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন এতে উপস্থিত শ্রোতামন্ডলী আনন্দ উপভোগ করছিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করছিলেন। এমন সময় নবীজি উপস্থিত হয়ে এরশাদ করলেন তোমাদের সকলের জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে গেল। (আত্তানভীর ফী মাওলিদিল বশীল ওয়ান নযীর)
মিলাদুন্নবী মুসলিম ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক: গোঠা বিশ্ব আজ অশান্তি, অরাজকতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, লুণ্টন ও অসামাজিক কার্যকলাপে নিমজ্জিত। জাতির এই ক্রান্তিকালে জাতিতে জাতিতে, গোত্রে গোত্রে, শান্তি, সাম্য, সম্প্রীতি, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপনে বিশ্ব মানবতার মূর্ত প্রতীক শান্তি ও কল্যাণের অগ্রদূত, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ অনুসরণই একমাত্র মুক্তির অবলম্বন। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই মু’মিনগণ (পরস্পর পরস্পরের) ভাই। তোমাদের ভাইদের মধ্যে শান্তি স্থাপন কর।” (আল কুরআন, ৪৯:১০)
মানবতা আজ ভূলুন্ঠিত, হিংস্রতা, অপরাধ প্রবণতা, সর্বত্র আজ প্রতিষ্ঠিত। অশ্লীলতা, নগ্নতা বেহায়াপনার সয়লাবে মানবিক মূল্যবোধ আজ নির্বাসিত। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, পাপাচার, ব্যভিচার, মিথ্যাচার, শটতা, কপটতা, নানাবিধ অপকর্মের দাপট ও নৈতিক অবক্ষয়ের সয়লাবে গোটা সমাজ ব্যবস্থা আজ আক্রান্ত। খোদাদ্রোহীতা, নবী দ্রোহীতা, নাস্তিকতা, মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের বিরুদ্ধে এক অঘোষিত চ্যালেঞ্জে রূপ নিয়েছে। বাক স্বাধীনতার নামে ইসলামের নবী সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম অনুকরণীয় আদর্শ নবী মুস্তফার সুমহান মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী অপশক্তিগুলো আজ ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মিলাদুন্নবীর মহিমান্বিত মাসে ফ্রান্স সরকার বিশ্বনবীর প্রতি চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন জালিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের নবী প্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে মজবুতভাবে আকড়ে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর। (আল কুরআন, ৩: ১০৩)
নবীর প্রতি অবমাননাকারীদের ধ্বংস অনিবার্য: প্রিয় রাসূলের অনুপম অনিন্দ্য সুন্দর আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ। সেই মহান নবীর প্রতি অবমাননাকারীদের ধ্বংস অনিবার্য মহান আল্লাহ কর্তৃক নবীদ্রোহীদের করুণ পরিণতি ঘোষিত হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে কষ্টদেয় আল্লাহ তো তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত করবেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (সূরা: আহযাব: ৫৭)
যুগে যুগে নবীদ্রোহীরা ধ্বংস হয়েছে: আজকে একদিকে ইসলাম বিদ্বেষী খোদাদ্রোহী, নবীদ্রোহীরা, নবী-রাসূল, সাহাবা ইসলাম ও কুরআন অবমাননা মসজিদ ও ইসলামী স্থাপনা নিশ্চিহ্ন করে পৃথিবীর বুক থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন করতে চায়। অপর দিকে ইসলাম বিকৃতিকারীরা কুরআন সুন্নাহর অপব্যাখ্যা করে সরল প্রাণ মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা বিনষ্ট করতে সদা সক্রিয় ও তৎপর। তাদের করুণ পরিণতি ইসলামের অনিবার্য বাস্তবতা। তাঁরা ইতিহাসে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তাঁরা ধিকৃত, কলংকিত, অভিশপ্ত, ধ্বংস তাদের অনিবার্য। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদেরকে অপদস্ত করা হবে। যেমন অপদস্ত করা হয়েছে তাদের পূর্ববর্তীদেরকে।” (সূরা: মুজাদালাহ: আয়াত: ৫)
হে আল্লাহ আমাদেরকে কাজে কর্মে চিন্তা চেতনায় শিক্ষা দীক্ষায় জীবন চলার প্রতিটি পর্যায়ে নবীজির আদর্শ অনুসরণের তাওফিক দান করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার ভালবাসা ও আপনার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসা নসীব করুন। আমাদের আপনাদের সকলকে কুরআনের বরকত দান করুন, কুরআনের আয়াত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ দ্বারা পরিত্রাণ নসীব করুন। নিশ্চয়ই তিনি দানশীল, সৃষ্টি জগতের মালিক, পুণ্যময় অনুগ্রহশীল, দয়ালু, আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।