চট্টগ্রামে ‘দোয়া ও ইসলামি মাহফিল’ নামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনুমতি ছাড়া এক বিচারকের নাম দিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বাঁশখালীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাঁটলিপিকার মো. বদরুদ্দোজা বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আগামীকাল শনিবার বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও পীরে কামেল শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব স্মরণে ‘দোয়া মাহফিল’ এর আয়োজন নিয়ে পোস্টার-ব্যানার ছাপিয়ে ও ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘পুকুরিয়া ইসলাম প্রচার সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন। এতে অতিথির তালিকায় ‘মাহাবুবুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ, বান্দরবান’ লেখা আছে।
মামলার বাদি অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবানে মাহাবুবুর রহমান নামে কোনো জেলা ও দায়রা জজ নেই। বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম মাহবুবুর রহমান। তার পৈতৃক বাড়িও বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ইসলামি শরীয়াহ মেনে চলেন, কিন্তু তিনি কোনো দল-মতের সঙ্গে যুক্ত নন। এরপরও তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বিনা অনুমতিতে ভুল পদবি দিয়ে নাম লিখে প্রচারণা চালানোর কারণে এই বিচারক সামাজিক হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন, যা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের সামিল বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
বিচারকের নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচারণার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) এর ক-ধারা, ২৬ (১) এবং ২৯ (১) ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘একজন বিচারকের অনুমতি ছাড়া দোয়া মাহফিলের পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটে নাম ব্যবহার এবং ফেসবুকে প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর মাহফিল যে এলাকায় হবে, সেখানে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু লিফলেট জব্দ করেছি।
মামলার বাদী মো. বদরুদ্দোজা গতকাল আজাদীকে বলেন, বিনা অনুমতিতে একজন সম্মানিত বিচারকের নাম ব্যবহার গর্হিত অপরাধ। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান তিনি।